ভারতে লকডাউনের মধ্যে রবিবার নিজের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠান করলেন ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে তিনি ভারতে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। মোদী তাঁদের কাছে আবেদন করেন তাঁদের কাহিনী সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এর ফলে সাধারণ মানুষ এই ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসবে বলে তাঁর বিশ্বাস। সবাই বুঝতে পারবেন এই ভাইরাসকে হারিয়ে ফিরে আসা যায়। এই মুহূর্তে ভারতে ৮৬ জন করোনা আক্রান্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
হায়দরাবাদের এক আইটি কর্মী রামাগাম্পা তেজা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি সুস্থ। তিনি ফোনে মোদীকে বলেন, প্রথম যখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। দুবাই থেকে ফেরার পরেই তাঁর শরীরে কোভিড ১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি বলেন, হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসক ও নার্সরা সবসময় আশা দিতেন। তাতে তিনি অনেকটাই ভরসা পেয়েছিলেন।
একথা শুনে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, এই খবর শুনে তাঁর পরিবারের অবস্থা কেমন ছিল। উত্তরে তেজা বলেন, পরিবারের সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সবার নমুনা নেগেটিভ আসে। তাতে সবাই খানিকটা স্বস্তি পান। এমনকি সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও তিনি নিজেকে সবার থেকে দূরে রেখেছেন বলেই জানান ওই যুবক।
সব শুনে মোদী তাঁকে একটা পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “আপনি তো আইটিতে আছেন। তাহলে আপনার এই আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার একটা ভিডিও বানিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিন। তাহলে মানুষ অযথা ভয় না পেয়ে এই পরিস্থিতির সঙ্গে কী ভাবে লড়াই করতে হয় তার শিক্ষা পাবে।”
এদিনের অনুষ্ঠানে আগ্রার অশোক কাপুর নামের আরেকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন মোদী। ওই ব্যক্তির পুরো পরিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। অশোকবাবু তাঁর দুই ছেলে ও জামাইকে নিয়ে ইতালিতে একটি জুতোর মেলায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরে তাঁর জামাই অসুস্থ হন। তারপরে পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি, তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে, বৌমা ও নাতি সবাই করোনা আক্রান্ত। সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর তাঁরা ছ’জনই করোনার প্রকোপ থেকে বেরিয়ে এসেছেন। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ। তাঁদেরও ভিডিও বার্তায় এই কথা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান করেন মোদী।
লকডাউন ঘোষণার পাঁচদিন পর জাতির উদ্দেশে তাঁর রেডিও অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গত মঙ্গলবার রাত আটটায় তিনি লকডাউন ঘোষণা করেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শিকার প্রায় ১,০০০ জন। মারা গিয়েছেন ২৭ জন।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com