চলতি বছরে সড়কপথে মোট তিন হাজার ৭৫৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬০৩ জন। এছাড়াও আহত হয়েছেন দুই হাজার ৯৯০ জন। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেভ দ্য রোড।
২৬টি জাতীয় দৈনিক, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত-প্রচারিত তথ্যর পাশাপাশি সারাদেশে সেভ দ্য রোড’র স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সংগঠনটির মহাসচিব শান্তা ফারজানা স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৫০ শতাংশ শিশু-কিশোর ও তরুণ। যাদের বয়স ৭ থেকে ২৫ বছর এবং অধিকাংশই শিক্ষার্থী। বাকিদের মধ্যে ২০ শতাংশ বৃদ্ধ, যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব। বাকি ৩০ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছর। আগস্টে ঘটা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৬০ শতাংশই ঘটেছে বাইকলেন না থাকা এবং সড়কপথের বেহাল দশার কারণে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাইকলেন না থাকায় এবং দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে আগস্টে এক হাজার ৬২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৭৫০ জন এবং নিহত হয়েছেন ৯২ জন। অসাবধানতা ও ঘুম ঘুম চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে গত মাসে ৮৩৯টি ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৫৬০ জন এবং নিহত হয়েছেন ৬৮ জন। এছাড়াও সড়কের বেহাল দশা ও বিশ্রাম না নিয়ে একটানা পরিবহন চালানোসহ বিভিন্ন কারণে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮৯৬টি। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯১৮ জন এবং নিহত হয়েছেন ২৫৫ জন।
পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সঙ্গে চলাচলের কারণে লরি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিকশা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৬০টি। এতে আহত হয়েছেন ৭৬২ জন এবং ১৮৮ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও ১ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৫৫টি। এসব দুর্ঘটনায় ৩৭৭ আহত, ১৫ জন নিহত ও ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আলোচ্য সময়ে রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৬৬টি। এতে আহত হয়েছেন ১৭৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৯ জন। এ সময়ে আকাশপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন।
আগস্ট মাসের এই প্রতিবেদনে বাইকলেন না থাকার পাশপাশি সড়কপথের বেহাল দশায় সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি এ সময়ে বেড়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও।