eibela24.com
বৃহস্পতিবার, ১৮, এপ্রিল, ২০২৪
 

 
ধর্ষণ ও মাদক বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে 
আপডেট: ০৪:১১ pm ০৫-১০-২০২০
 
 


ভাড়াটিয়া, ভোক্তা ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর পরও মাদকের বিস্তার কমেনি বরং বেড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যও মাদক কারবারে জড়িত। নেপথ্যে রাজনৈতিক শক্তিও জড়িত বলে অভিযোগ আছে। মাদক নির্মূলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অভিভাবকের নজরদারি ও জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকার ও প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। মাদক মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

মহামারি প্রতিরোধে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে ভাড়াটিয়া, ভোক্তা ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র চেয়ারম্যান প্রবীণ সাংবাদিক কামরুল হুদা ও মহাসচিব সাংবাদিক নাছির উদ্দিন চৌধুরী এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেন। 

বিবৃতিতে ভাড়াটিয়া, ভোক্তা ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই ধর্ষণ,
গণধর্ষণের মতো অপরাধ প্রায় প্রতিদিনই সংঘটিত হচ্ছে। ধর্ষিতা হিসেবে যেমন শিশু, কিশোর, বয়েসী মহিলাকে ভিকটিম হতে দেখা যাচ্ছে, ধর্ষক হিসেবেও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন বয়স ও পেশার লোকজনকে। চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের অপরাধীচক্র কতো পাওয়ারফুল ছিল, সেটা তো ঘটনার ধারাক্রম থেকেই প্রমাণ হয়। প্রকাশ্যে গাড়ির ভেতরে গণধর্ষণ করলো তারা। এই প্রবল ক্ষমতাধর ধর্ষক কারা? ছাত্র। বয়সে তরুণ-যুবক। এখন বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২৫-৪০ বয়সের মানুষ সর্বাধিক। এই তরুণ-যুবকগণ, যতো না পড়াশোনা ও দক্ষতা অর্জনে ইচ্ছুক, তার চেয়ে বেশি বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহ ও কনজিউমারিজম ভিত্তিক সংস্কৃতি দেখে দেখে ভোগপ্রবণ বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন হচ্ছে বেশী। তাদের যোগ্যতা থাক বা না
থাক, তাদের মধ্যে প্রচণ্ডভাবে উচ্চাকাঙ্খা তৈরি হয়েছে। ফলে তারা রাজনীতির ছত্রছায়া গ্রহণ বা অপরাধ করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা হাসিলের জন্য। এই অপরাধীদের সঙ্গে রাজনীতি, আদর্শ, দর্শন, মূল্যবোধ, চেতনা ও কমিটমেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই। এরাই সময়ে সময়ে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে নিজের হীন স্বার্থে ও ব্যক্তিগত সুবিধার কারণে দল বদলায়। দলের অসৎ ও কুচক্রী রাজনীতিবিদগণ সংখ্যায় নগণ্য হলেও ক্ষমতাবান হয়ে উঠছেন। তারা নিজেদের ব্যক্তিগত বা দলগত স্বার্থে এই তরুণ-যুবকদের কাজে লাগান। এরাই তাদের পৃষ্ঠপোষক হয়ে তরুণ-যুবকদের বিপথগামী করেন। তরুণ-যুবকরাও ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে মাদক, ধর্ষণ বা অর্থ উপার্জনে লিপ্ত হয়। ফলে ক্ষমতা ও রাজনীতির আড়ালে একটি অপরাধচক্র প্রতিষ্ঠা পায়। তারা নৃশংস অপকর্ম করতেও পিছপা হয় না। অবিলম্বে এই সমস্ত অপরাধ নির্মূলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান ভাড়াটিয়া, ভোক্তা ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

নি এম/মো. নাছির