eibela24.com
শুক্রবার, ২৯, মার্চ, ২০২৪
 

 
স্বাধীন পূর্ব তুর্কমেনিস্তান চায় উইঘুর মুসলিমরা
আপডেট: ০৫:০৩ pm ০৯-০৯-২০২০
 
 


জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের উপর চীনা নিপীড়নের প্রতিবাদ ও স্বাধীন পূর্ব তুর্কমেনিস্তানের দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। উইঘুর স্বাধীনতা আন্দোলন এমন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলন যার প্রধান লক্ষ্য চীনের স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চলকে উইঘুর জাতির জন্য একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করা, যার নাম হবে 'পূর্ব তুর্কমেনিস্তান।

জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে গত ২৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্ক শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। নিউইয়র্কে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের সামনে পূর্ব তুর্কমেনিস্তানের একদল উইঘুর এ প্রতিবাদ জানায়। এ সময় তাঁদের হাতে ছিল পূর্ব তুর্কমেনিস্তানের পতাকা এবং মুখে ছিল পতাকার আদলে তৈরি মাস্ক। পূর্ব তুর্কমেনিস্তানের নির্বাসিত সরকার এ প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে

বিক্ষোভ হয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিওতেও। গত ১২ জুলাই চীনা নির্যাতনের প্রতিবাদে টোকিওতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে একদল উইঘুর মুসলিম ও তিব্বতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের উইঘুর সম্প্রদায়ের বিক্ষোভকারীরা অঞ্চলটিকে পূর্ব তুর্কমেনিস্তান নামকরণের দাবি জানান।

প্রতিবাদকারীরা বলেন, সংখ্যালঘু ক্যাম্পগুলোতে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন ও জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করছে চীন। নির্যাতনের শিকার হয়ে তারা চীন সরকারের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা চীনের উপনিবেশ থেকে উইঘুর ও তিব্বতি সংখ্যালঘু সম্পদ্রায় এবং হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবিও জানান।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্যানার-ফেস্টুনে নিয়ে টোকিও রাস্তায় নেমে চীনের রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। কেউ কেউ চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ব্যাঙ্গাত্মক ছবিও প্রদর্শন করেন।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন টোকিওতে অবস্থানকারী হংকংয়ের প্রবাসীরা। গত ৩০ জুন চীনের নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। চীনে পাস হওয়া নতুন এই নিরাপত্তা আইনে কর্তৃপক্ষকে অবমাননা ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্নকারীর সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

চীনের এই আইনকে আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ।

নি এম/