eibela24.com
বৃহস্পতিবার, ১৮, এপ্রিল, ২০২৪
 

 
২০২০ এর ঈদের উপহার ভারতের ১০ টি রেল ইন্জিন
আপডেট: ১১:৩১ pm ২৭-০৭-২০২০
 
 


https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=134935344944219&id=100052832627899

২০২০ এর  ঈদের উপহার বাংলাদেশকে ১০ টি রেল ইন্জিন হস্তান্তর করেছে ভারত। 

ফুল দিয়ে বর্ণিলভাবে সাজানো ইঞ্জিনগুলো সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছালে উপস্থিত হাজারো মানুষ করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে রেল ইঞ্জিনগুলো সরাসরি গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী কুদরত-ই-খুদা ও ভারতীয় রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অশোক কুমার বিশ্বাস দুই দেশের পক্ষে হস্তান্তরপত্রে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে সোমবার (২৭ জুলাই) এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর এবং রেল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের উপস্থিতে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভের বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা সূচনা করে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের রেলপথ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অঙ্গদি সুরেশ। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল কালাম আব্দুল মোমেন এবং রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন লোকোমোটিভগুলো গ্রহণ করেন।

এ সময় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ভারতীয় রেলওয়ে আমাদের ১০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে দিচ্ছে। ইঞ্জিনগুলো হস্তান্তরে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে বিকেল ৪টায় দর্শনা স্টেশনে এসে পৌঁছায়। ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে লোকোমোটিভগুলিকে যথাযথভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই লোকোমোটিভগুলি বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শংকর পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে রচিত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার কালোত্তীর্ণ সম্পর্কের গভীরতার কথা তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ মহামারীতেও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গতি হ্রাস না পাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, চলমান ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে তিনি এ জাতীয় আরও মাইলফলক অতিক্রম করার প্রত্যাশা করছেন।

ভারতের রেলপথ,শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধিতে এবং দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করতে রেল সহযোগিতার তাৎপর্যকে গুরুত্ব দেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, আমি বাংলাদেশের কাছে ১০ টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। সফরকালে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃক বাংলাদেশ রেলওয়েকে লোকোমোটিভ ‘গ্রান্ট’ (অনুদান) হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী গত ২১ জুলাই উভয় দেশের রেলওয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ গেদে-দর্শনা ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মাধ্যমে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ দিল ভারত। বিশ্বের খুব কম দেশের মধ্যেই আমাদের মতো ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের অংশীদারিত্ব আজ এই অঞ্চলে সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে বিবেচিত।

সম্প্রতি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল এবং কনটেইনার ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। এতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নি এম/