বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজার আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এ এক চিরন্তন প্রথা। ‘কোজাগর ’অর্থাৎ‘কে জেগে আছে’। আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করতে রাত জাগার বিধান রয়েছে। তাই একে কোজাগরী পূর্ণিমা বলা হয়। “ঘুমিয়ে লক্ষ্মী হন বিরূপা, জাগরণে লক্ষ্মীর কৃপা। নইলে কেন জাগে কোজাগরে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। ধন সম্পদের আশায় এবং সংসারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজা হয়ে থাকে। অনেকেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। লক্ষণীয় বিষয় হল-খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি হিন্দু মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজার উপাচারে পরিবর্তন হয় মাস ভেদে।
ধান, চাল , অন্ন , খাদ্যশস্য হল লক্ষ্মী দেবীর প্রতীক। তাই যারা খাদ্য অপচয় করেন , তাঁদের ওপর দেবী লক্ষ্মী কখনোই তুষ্ট হন না বলে মনে করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ধানক্ষেতের আশেপাশে ইঁদুর বা মূষিকের বাস এবং এরা ধানের ক্ষতি করে থাকে। পেঁচক বা পেঁচার আহার হল এই ইঁদুর। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী গোলাঘরকে লক্ষ্মীর প্রতীক বলা হয়। বাংলা মাসের আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়। এই তিথিতে সন্ধে বেলা লক্ষ্মীদেবীর পুজা করে। তাই একে ‘দ্যুতপূর্ণিমা’ও বলা হয়।
এবছর বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে ৩০শে অক্টোবর বিকেল ৬টা১৬ মিনিটে পূর্ণিমা শুরু। পরেরদিন অর্থাৎ ৩১শে অক্টোবর রাত্রি ৮টা ৩৯মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকছে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com