রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রবিবার, ২৭শে মাঘ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
শিক্ষকের লালসার স্বীকার শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানিসহ ১৬টি অভিযোগ নোবিপ্রবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে
প্রকাশ: ০১:৫৩ pm ১৫-০৮-২০২২ হালনাগাদ: ০১:৫৩ pm ১৫-০৮-২০২২
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মার্ক টেম্পারিং, যৌন হয়রানিসহ ১৬টি বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।  

গতকাল রবিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান বিপ্লব মল্লিক বরাবর এই অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী ১৮ শিক্ষার্থী।তাতে দেখা যায়, অভিযোগকারী সবাই শিক্ষা বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

 

লিখিত ওই অভিযোগপত্রে মোট ১৬টি বিষয় উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে কোনও কারন ছাড়া মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে অনেক রাত পর্যন্ত ভয়ভীতি (পরীক্ষার ফলাফলের) প্রদর্শনের মাধ্যমে তাঁর নিজস্ব অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখা, ভাইভা বোর্ডে মেয়ে শিক্ষার্থীদের অশালীন প্রশ্ন করা, মার্কস বাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে অনৈতিক ইঙ্গিত দেওয়া, পছন্দের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা, পরীক্ষার হলে এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের অপমান, অপদস্ত, লাঞ্ছিত করাসহ গুরুতর সকল অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম ব্যাচের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বিভাগের কম বেশি সব মেয়েরাই স্যারের হেনস্তার শিকার। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।  

বিভাগের ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'মার্ক টেম্পারিং ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন ও অনৈতিক ইঙ্গিত দেওয়ার বিষয় অনেক আগের হলেও এটি এখন মাত্রা ছড়িয়ে গেছে। আমরা চাই উনাকে যেন বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান বিপ্লব মল্লিক বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার বিভাগের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষা বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি অভিযোগপত্র এসেছে। এটি খুবই স্পর্শকাতর একটি বিষয়। আমরা উপাচার্য স্যারের সাথে বসে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই অভিযোগটি যাচাই করে দেখব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘এসব ঘটনা ঘটেনি। আপনারা বিভাগের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কেউ আমার বিরুদ্ধে লেগে ইচ্ছাকৃত এসব করেছে। আমি এসবের সঙ্গে জড়িত নই’।

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2025 Eibela.Com
Developed by: coder71