জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিথী সরকারকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে এ বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টার আগে বাসা থেকে থানার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর থেকেই তিথি সরকার নিখোঁজ।
তিথির বড় বোন স্মৃতি সরকার ফোনে জানান, ২৪ তারিখ রাতে থানা থেকে এসআই এসে বলে যায় আগামীকাল (২৫ অক্টোবর) সকালে তিথি সরকার যেন থানায় (পল্লবী থানা) গিয়ে ওসি সাহেবের সাথে দেখা করে। ওসির সাথে দেখা করার জন্য ২৫ তারিখ সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়। এর কিছুক্ষন পর থেকে তিথির মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়, এখনও তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ আছে।
স্মৃতি সরকার আরো বলেন, গতপরশুদিন এসআই শুভ তার বাড়িতে গিয়ে বলে আগামীকাল সকাল ৯ টা থানায় আসতে । সকালে এসআই শুভ তার বোন তিথিকে ৩ বার কল করে। এবং প্রতি ৫-১০ মিনিটের পরে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি বাড়ি থেকে চলে গেছে কি না। তার বাড়ি এবং থানার মধ্যে দূরত্ব হাঁটা পথে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট কিন্তু সে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে, সে তার বোনের নাম্বারে কল করা বন্ধ করে দেয়।
তিথি সরকারের দিদি আরও জানান, থানা যাওয়ার আগে পরপর ৩ বার তাগাদা দেন অথচ বেরিয়ে যাওয়ার পর একবারও ফোনে খবর নেয়নি। এতে কি প্রমাণিত হয়? তিথি সরকার থানায় প্রবেশের পর মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তিথি সরকারের।
তিথি সরকারের বড় বোন আকুতি জানিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে কি মামলা দায়ের করা হয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে এতটা চিন্তিত হয়ে বলল যে আমাকে পরামর্শ দিন আমার কী করা উচিত? দয়া করে আমাকে বাঁচান, আমি মনে করি আমাকে আমার দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
তবে এই ঘটনার পরেও পুলিশ তাকে অপহরণ, হারিয়ে যাওয়া, হত্যা বা অন্য কোনও মামলা করার ঘোষণা দেয় না। এটি এখন প্রায় ২ দিনের বেশি। তারা ঠিক বেশ। আইন শাস্তি এবং সংবিধান অনুসরণ করে কাউকে অপহরণ করা বা তিনি কোথায় আছেন তা নির্ধারণ না করে এবং অপহৃত বা হারিয়ে যাওয়া মামলা দায়ের না করা সম্পূর্ণ বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com