শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
মশা কামড়ালে কেন চুলকায় ? কোন কাজে উপশম হয়
প্রকাশ: ১১:৪১ am ০৩-০৯-২০২২ হালনাগাদ: ১১:৪১ am ০৩-০৯-২০২২
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


মশার কামড় খায়নি এমন কেউ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। আবার শোনা যায়, কিছু কিছু মানুষকে মশা বেশি পছন্দ করে বলে বেশি কামড়ায়। যেটাই হোক মশার কামড়ালে চুলকাবেই।

কেন চুলকায়?

মশা তাঁর সূচালো মুখ বিধিঁয়ে দেয় এবং রক্ত শুষে নেয়।

রক্ত শুষে নেওয়ার সময় মশার কিছুটা লালা আপনার শরীরে চলে আসে। মশার লালায় থাকে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট এবং প্রোটিন। প্রোটিন হলো বাইরের একটি উপাদান, এটি যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন শরীর সংকেত দেয় এই প্রোটিনকে মারার জন্য। তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা এটিকে মারার জন্য হিস্টামিন ছেড়ে দেয়। হিস্টামিন ঠিক সেখানেই যায়, যে জায়গায় মশা কামড় দিয়েছিল। আর এই হিস্টামিন উপাদানই চুলকানো এবং ফুলে যাওয়ার কারণ।

 

অনেকর মশার কামড়ে প্রতিক্রিয়া কম হয়। কারণ হলো, তাদের শরীর বাইরের উপাদানের প্রতি কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। কিছু মানুষ বুঝতেও পারে না তাকে মশা কামড় দিয়েছে। আবার অনেকর তো সময়ের সাথে সাথে সহনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। তখন মশা কমড়ালেও কিছু হয় না।

চুলকালে কী করবেন?

যা করতে পারেন,

রাবিং অ্যালকোহল

মশা কামড়ানোর সাথে সাথেই যদি, একটু রাবিং অ্যালকোহল দিয়ে জায়গাটা মুছে নেন তাহলে আর চুলকাবে না। তবে বেশি পরিমাণে লাগানো যাবে না। এটি ত্বক শুষ্ক করে দেয়।

মধু

মধুতে আছে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ক্ষত নিরাময়ের বেশ কার্যকর। জ্বালাপোড়া বা চুলকানির ভাব কমাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। তবে মধু লাগিয়ে বাইরে যাবেন না। মধুতে থাকা চিনি মশাকে আকৃষ্ট করে।

ঠান্ডা টি-ব্যাগ

গ্রীন বা লাল চা ফোলা বা চুলকানির বিরুদ্ধে কাজ করে। টি ব্যাগ নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। এরপর যেখানে মশা কামড়িয়েছে সেখোনে লাগান। চুলকানি ভাব কমে যাবে।

তুলসী পাতা
 
তুলসী পাতায় কিছু ক্যামিকেল আছে যেটি চুলকানি কমায়। দুই কাপ পানিতে হাফ কাপ শুকনা তুলসী পাতা ফুটিয়ে মিশ্রণটি ঠান্ড করে নিন। যেখানে মশা কামড় খেয়েছেন সেখানে লাগাতে পারেন। অথবা সরাসরি তুলসি পাতা গাছ থেকে নিয়ে ঘষে নিন।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরার ঠান্ডা ভাব চুলকানি কমিয়ে দেয়। সরাসরি গাছ থেকে নিয়ে লাগাতে পারেন।  

রসুন কুঁচি

ক্ষত নিরাময় এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যের কারণে কিছু ক্রিমে রসুনের নির্যাস ব্যবহার করা হয়। তবে সরাসরি আপনার ত্বকে রসুন ঘষবেন না। কাঁচা রসুন ত্বকের জ্বালা এবং প্রদাহ বাড়াতে পারে। যেটা করতে পারেন, নারকেল তেলের সাথে রসুন কুচি মিশিয়ে নিন। পাতলা করে কয়েক মিনিটের জন্য আক্রান্ত স্থানে লাগান।

যেকোনো কিছু ত্বকে লাগানোর আগে দেখে নিন কোনো অসুবিধা হয় কিনা। অসুবিধা হলে লাগাবেন না।

কেএম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71