ভারতের প্রত্যন্ত এলাকায় করোনা টিকার ডোজ পাঠানোর জন্য প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটির সরকারি চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রধান ড. সিমরান পাণ্ডা বিবিসিকে এই তথ্য জানয়েছেন।
ড. সিমরান পাণ্ডা বলেছেন, ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে টিকা পাঠানোর জন্য ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিষ্ণুপুর থেকে মনিপুরের কারাং দ্বীপের একটি ক্লিনিকে প্রথমবারের মতো ড্রোনের মাধ্যমে টিকার চালান পাঠানো শুরু হয়েছে।
প্রথম এই অভিযানটি সফল হওয়ায় মনিপুর-নাগাল্যান্ডের মতে পার্বত্য রাজ্যগুলোর প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকাসমূহে এখন থেকে ড্রোনের মাধ্যমেই টিকার চালান পাঠনো হবে বলে জানিয়েছেন ড. পাণ্ডা। এর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের দ্বীপপুঞ্জ আন্দামান-নিকোবরে টিকার ডোজ পাঠানোর জন্য ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিবিসিকে ড. সিমরান পাণ্ডা বলেন, ‘আমরা দেশের এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে টিকাদান ও টিকার ডোজ পাঠানোর ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ, এসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো এখনও যথেষ্ট উন্নত নয় এবং সংক্রমণ যদি একবার ছড়িয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে ওইসব্যাপী টিকাদান কর্মসুচি শুরু করেছে ভারত। সেই থেকে এ পর্যন্ত কর্মসূচিতে ব্যাবহার করা হয়েছে ৯৭ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ।ব এলাকার খুব কমসংখ্যক মানুষ আইসিইউ বা মেডিকেল অক্সিজেনের মতো চিকিৎসা সুবিধা নেওয়ার মতো অবস্থা আছে।’‘এ কারণে দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলসমূহে টিকাদানের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এই প্রকল্পে যে ড্রোনগুলো ব্যবহার করা হবে, সেগুলো সর্বোচ্চ সাড়ে চার কেজি বা ৯০০ ডোজ টিকা পরিবহনে সক্ষম বলে উল্লেক করেছেন সরকারের এই জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী।
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসুচি শুরু করেছে ভারত। সেই থেকে এ পর্যন্ত কর্মসূচিতে ব্যাবহার করা হয়েছে ৯৭ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ।
২০২১ সালের মধ্যে যোগ্য নাগরিকদের সবাইকে টিকা দিতে চায় ভারত। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লক্ষ্য পূরণের জন্য টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ গতি নিয়ে আসতে হবে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com