সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্ত নদী যাদুকাটা, মাহারাম, শান্তিপুর, চাঁনপুর ও কলাগাঁও ছড়া থেকে লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। তারা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বালু ও পাথর বিক্রি করে হয়ে গেছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। আর সরকার হারিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব।
রবিবার সকাল ১০টায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু বোঝাই ৬টি ইঞ্জিনের নৌকা আটক করেছে বিজিবি।
এব্যাপারে যাদুকাটা, মাহারাম-শান্তিপুর ও কলাগাঁও এলাকাবাসী জানায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গাগটিয়া জালরটেক হতে অদৈত মহাপ্রভুর বাড়ির পশ্চিমপাড় পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার ও শিমুলবাগান হতে মাহারাম নদী হয়ে শান্তিপুর ও চানপুর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিদিন অবৈধভাবে শতশত নৌকায় বালু ও পাথর বোঝাই করাসহ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও-চাঁরাগাঁও এলাকায় চলছে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর বিক্রির মহাতান্ডব। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকাল থেকে উপরের উল্লেখিত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু বোঝাই করে পাটলাই নদী দিয়ে যাওয়ার সময় অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালু বোঝাই ৬টি ইঞ্জিনের নৌকা আটক করে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। কিন্ত কোন লোক আটক করতে পারেনি।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাদাঘাট ইউনিয়নের গাগটিয়া গ্রামের আব্দুল আহাদ, রানু মিয়া ও আলী চাঁদ মিয়াগং জেলা পরিষদের নামে কোন প্রকার রসিদ ছাড়াই প্রতিদিন রাতে যাদুকাটা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় নৌকা প্রতি ৫শ থেকে ২হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়াসহ তারা নিজেরাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এছাড়াও যাদুকাটা নদীর তীরে অবস্থিত জালর টেক বড়ইতলা এলাকায় আব্দুল আহাদ, আব্দুল্লা, আব্দুল হান্নানসহ আদর্শ গ্রামের খাইরুল মিয়াগং অবৈধভাবে গভীর কোয়ারী তৈরি করে লক্ষলক্ষ টাকার বালি ও পাথর বিক্রি করছে। এছাড়াও জালরটেক এলাকার শামসুল আলম প্রতি রাতে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালি ও পাথর বিক্রি করছে বলে জানাগেছে। অন্যদিকে শিমুল বাগান সংলগ্ন যাদুকাটা নদী ও মাহারাম নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করছে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের শাহালাম ও মাজহারুল গং। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে নৌকাসহ শ্রমিকদের আটক করলেও বালু ও পাথর খেকো স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার জাকির বলেন, আমার উপরস্থ কর্মকর্তার নির্দেশে অবৈধ বালু বোঝাই ৬টি নৌকা আটক করেছি,এব্যাপারে তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যারা অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নি এম/মোজাম্মেল
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com