জোর জবরদস্তি করে ১৯৪৯ সালে জিনজিয়াং ও ১৯৫০ তে তিব্বতকে নিজের দখলে করেছে চীন। মূলত দখলদারি করেই নিজের সীমান্ত বাড়াতে সিদ্ধহস্ত এশিয়ার এই দেশ। এবার ভারতের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দিয়েছে বেজিং। লাদাখের আগে চীন কোন পর্যায়ের দখলদারি চালিয়ে গিয়েছে, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
চীনর ৩১ শতাংশই দখলদারির ফসল!
চীনের ৩১ শতাংশ এলাকাই দখলদারির জেরে এসেছে। এমনই তথ্য পেশ করছে রিপোর্ট। এরমধ্যে , ১৩ শতাংশ তিব্বতের বলে জানাচ্ছে টিবেট অটোনমাস রিজিয়ন , অন্যদিকে জিনজিয়াং ইউঘুর অটোনমাস এরিয়ার ১৭.৬৮ শতাংশ চীনের মোট এলাকার অংশ বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ভারতের দুটি অংশে অবৈধ দখল চীন বহু আগে থেকে রেখেছে বলে দাবি রিপোর্টের।
চীনের দখলে কোন কোন ভারতের এলাকা?
ভারতের দুটি অংশ চীনের দখলে। একটি '৬২ র যুদ্ধের সময় আকসাই চীন। অন্যটি পাকিস্তান দখল করে ১৯৬৩ সালে তা চীন-পাকিস্তান চুক্তির দ্বারা চীনের হাত তুলে দেয়। আকসাই চীনের ৩৮ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত চিনন ছয়ের দশকে দখলে রেখেছিল। যা চীনা আগ্রাসনের একটি কালো অধ্যায় হিসাবে এশিয়ার ইতিহাসে রয়েছে।
উইঘুর মুসলিম বনাম চীন
এদিকে, জিনজিয়াং প্রভিন্সের উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের সংঘাত এখনও। জোর করে দখলে আনা এই এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের চীন থেকে মুক্ত করতে চায়। কিন্তু চীনের দমন পীড়ন নীতির মুখে তাঁরে কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে না। উইঘুররা নিজেদের তুর্কীর বাসিন্দা বলে এখনও মনে করেন। তাঁদের মঙ্গোলিয়ান ধাঁচ চীনের সঙ্গে খাপ খায়নি আজও।
চীনের অন্দরে আলাদা স্বাধীনতা দিবস!
উল্লেখ্য, উইঘুরদের নির্বাসিত সরকার মার্কিন মুলুকে, ও তিব্বতের নির্বাসিত সরকার ভারতে। জোর করে উইঘুরদের দখলে নেওয়া চীনকে কিছুতেই নিজের সরকার বলে মনে করেননা এই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা নিজেদের স্বাধীনতা দিবস ১২ নভেম্বরকে মনে করেন। পূর্ব তুর্কিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ছিল। তবে সেই সমস্ত এলাকা ক্ষণস্থায়ী হয় বিশ্ব ইতিহাসে। উইঘুরদের দখলে নেয় চীন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দানবীয় মেজাজ
১৯৪৯ সালে চিন শাসনে তখতে বসে কমিউনিস্ট পার্টি। তারপর সাত দশক ধরে জোর করে জিনজিয়াং ও তিব্বতকে নিজের কবেল রেখেছে চীন। এরপর ভুটান, সিকিম, অরুণাচলপ্রদেশ, লাদাখ দখলের দিকে এগিয়ে যায় চিন। দক্ষি চিন সাগরে সমুদ্র গর্ভের সম্পদ আহরণেও বুঁদ থাকে চীনের লোভ!
গণহত্যা ও দখলের ইতিহাস
যখন কোনও এলাকা চীন দখলে রাখতে চেষ্টা করে,তখন আগে সেই এলাকায় দমন , পীড়ন শুরু করে। তারপর এলাকাবাসীর প্রতিবাদের সুর চড়তেই তাঁদের মুখ বন্ধ করতে চীন গণহত্যার রাস্তা নেয় লালফৌজ। জিনজিয়াং ও তিব্বত সেই রক্তাক্ত ইতিহাস আজও বুকে নিয়ে চলছে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com