সূর্য ক্রমেই ঘুমিয়ে যাচ্ছে! তাহলে আবারও কি একটি সংক্ষিপ্ত বরফ যুগ ফিরে আসছে পৃথিবীতে? এ প্রশ্ন বিজ্ঞানীদের। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সূর্য তার তেজ হারাচ্ছে ফলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা কমছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে পৃথিবীর নিজস্ব চেহারা। বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এর মধ্যেই বিজ্ঞানীরা বলছেন হঠাৎ আমূল বদলে যেতে পারে পৃথিবী। কমে যেতে পারে তাপমাত্রা। তার ফলে পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে তূষার যুগ। গবেষকরা বলছেন ২০১৩ সালেও সূর্যকে যতটা তেজস্বী দেখা গেছে তেমনটা আর দেখা যাবে না।
সৌর গবেষকরা আশার কিছু দেখছেন না। তাদের কাছে মনে হচ্ছে পৃথিবী আবারও একটি ছোটখাটো বরফযুগের দিকেই এগুচ্ছে। ঠিক যেমনটি ঘটেছিরো ১৬৪৫ সালে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ক্রমে ঝিমিয়ে পড়ছে সূর্য। কমে আসছে তার তেজ। ২০২০ সালের পরবর্তী ৩০ বছরের মধ্যে যখন খুশি ‘হাইবারনেশন’ বা ঘুমে তলিয়ে যেতে পারে সৌরমণ্ডলের একমাত্র নক্ষত্রটি। যার জন্য সূর্যের উত্তাপ যাবে কমে। ফলে পৃথিবীতে ফিরে আসবে ‘আইস এজ’ বা বরফ যুগ। এই বরফ যুগের অর্থ কী? নর্থাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ভ্যালেন্টিনা জারকোভা ২০১৫ সালে প্রথমবার এই ‘মিনি আইস এজ’–এর কথা উল্লেখ করেছিলেন।
তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী। তিনিই সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি সূর্য একটি হাইবারনেশনে যাবে। সূর্যের পৃষ্ঠে এর ফলে অপেক্ষাকৃত কম সানস্পট তৈরি হবে। ফলে তেজ কমবে নক্ষত্রের। তবে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এটির কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখা নেই। ২০১৩, ২০১৫ সালেও এমন একটি আলোচনা শুরু হয়েছিল। তখন এর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘লিটল আইস এজ।’এসবের পরেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু দূষণ বা অন্য নানারকম কারণে পৃথিবীর হাল বদলেছে অনেক। তার একটা প্রভাব পরিবেশের ওপর পড়তে বাধ্য। আর সেই জন্যই আজ পরিবেশের আজব ব্যবহার শুরু হয়েছে কি না, সেটাও ভেবে দেখতে হবে মানুষকে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com