সারাবিশ্ব যখন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর আগ্রাসী তাণ্ডবে বিধ্বস্ত। ঠিক তখন দ্বিতীয় ‘পৃথিবী’ আবিষ্কারের খবর দিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা দাবি করছে নতুন এই গ্রহটি আকারে একেবারে পৃথিবীর মতোই দেখতে।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী থেকে ৩০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে ওই গ্রহ। নাসার কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে যে সব গ্রহের অবস্থান এখনও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়েছে তার মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে সবথেকে বেশি মিল রয়েছে এই গ্রহটির। এটি পৃথিবী থেকে মাত্র ১.০৬ গুন বড়। পৃথিবীতে যতটা সূর্যের আলো পৌঁছায়, নতুন এই গ্রহে তার নক্ষত্র থেকে সেই আলোর ৭৫ ভাগ আলো পৌঁছায়।
২০১৮ সালে কাজ শেষ করেছে কেপলার টেলিস্কোপ। আরও নিখুঁত ভাবে বলতে গেলে ২০১৩ সালের পর থেকে মহাকাশ থেকে আর কোনও তথ্য নিয়ে আসিনি এই টেলিস্কোপ। ২০২০ সালে সামনে এলো এই নতুন গ্রহ? মহাকাশবিদরা জানাচ্ছেন, এই গ্রহে নাকি রয়েছে হ্যাবিটেবল জোন। হ্যাবিটেবল জোন হল পাথুরে গ্রহের সেই অংশ যেখানে জল ধারণের ক্ষমতা রয়েছে।
নাসার সায়েন্স মিশনের ডিরেক্টরেট অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর থমাস জারবিউকেন বলেন, এই আবিষ্কারে আসা যাচ্ছে যে তারাদের ভিড়ে লুকিয়ে আছে এক দ্বিতীয় পৃথিবী। গত জানুয়ারিতে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় ইন্টার্নশিপ করতে আসা ১৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী পৃথিবী থেকে বহুদূরের এমন এক গ্রহের খোঁজ দিয়েছে, যে দুটি সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) মিশনে শিক্ষানবিশি করতে এসে উলফ কুকিয়ার নামের ওই শিক্ষার্থী এই গ্রহটি আবিষ্কার করেন বলে বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এ টিইএসএস মিশন আমাদের সৌরজগতের বাইরের অনেক গ্রহের খোঁজ দিতে ভূমিকা রেখেছে।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com