শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শনিবার, ৮ই আশ্বিন ১৪৩০
সর্বশেষ
 
 
করোনা ভাইরাসে অতি দরকারি কিছু পরামর্শ!
প্রকাশ: ১১:১৬ pm ০৬-০৬-২০২০ হালনাগাদ: ১১:১৬ pm ০৬-০৬-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


*যারা ভেবেছিলেন মুসলমানের দেশে করোনা আসবে না তাঁরা ভুল ছিলেন।
*যারা ভেবেছিলেন বেশি তাপমাত্রায় করোনা বাঁচে না তাঁরাও ভুল ছিলেন।
*যারা ভেবেছিলেন রমজানের পর করোনা থাকবে না তাঁরাও ভুল ছিলেন।

এই ভুল গুলো এখন প্রমাণিত সত্য। এখন যারা ভাবছেন এক দুই মাসের মধ্যে করোনা চলে যাবে তাঁরা ভুলের মধ্যে আছেন। যারা ভাবছেন শীঘ্রই করোনার টিকা বের হয়ে যাবে তাঁরাও ভুলের মধ্যে আছেন। যারা ভাবছেন শুধু ঘরের মধ্যে থেকেই করোনা কাল পার করে ভাইরাস মূক্ত থাকবেন তাঁরাও আছেন মহা ভুলে।

সত‍্যটি হচ্ছেঃ
অন্তত এক বছরের আগে করোনা পুরোপুরি যাচ্ছে না তা মোটামুটি নিশ্চিত। এক বছরের আগে কোনো টিকাই আপনার হাতে আসছে না তাও প্রায় নিশ্চিত। এমন কোনো বেহুলার বাসর ঘর সুস্থ মানুষের পক্ষে তৈরী করা সম্ভব না যেখানে করোনা প্রবেশ করবে না। আপনি মানুষ; অনন্তকাল ধরে কাজের বুয়া ছাড়া, বাহিরের বাজার ছাড়া, মানুষের সংস্পর্শ ছাড়া, সূর্যের রোদ ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। এভাবে বাঁচতে পারতে চাইলে আপনি বদ্ধ উন্মাদ হবেন, ১০০% গ‍্যারান্টি।

তাহলে উপায় কি?
একসময় সংক্রামক কলেরা রোগে গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে যেতো। মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতো, কারণ তারা জানতো না কেন কলেরা হয়? পানি ফুটিয়ে জীবানুমুক্ত করা যায় সহজেই। এখন আর কলেরা মহামারী হয় না, কারণ মানুষ জানে ফুটিয়ে বিশুদ্ধ পানি খেলে কলেরা হয় না।

আমরা এখন জানি করোনা কোন মাধ্যমে ছড়ায়। করোনা রোগীর থুতু, কাশি, লালা কিংবা চোখের পানি দিয়ে করোনা ছড়ায়। এগুলো আপনার নাক, মুখ চোখের পথ দিয়ে না ঢুকতে দিলে করোনা হবার নয়।শুধুমাত্র নাক, মুখ, চোখে বাহিরের লালা, থুতু, চোখের পানির সাথে যাওয়া ভাইরাস থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলেই আপনি করোনা মুক্ত থাকতে পারেন।

এটি বলতে খুব সহজ আবার করতে খুবই কঠিন। অনেক বছরের অভ‍্যাসের দাস আপনার হাতকে বশে রাখতে হবে। হাত যেন সাবানে পরিষ্কার না হয়ে কোনভাবেই নাক, মুখ, চোখ না ছোঁয়। অন‍্যের কাছে থেকে উড়ে আসা থুতু, লালা বা পানি মাস্ক এবং চশমা দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। কথার মাঝে ছাড়ানো থুতু, লালা কে বক্তা বা শ্রোতা উভয়ের পরিধান করা মাস্কের সাহায্যে প্রতিরোধ করা খুব সহজেই সম্ভব।

জুতা আবিষ্কারের গল্পের মতো সারা পৃথিবী চামড়া দিয়ে না ঢেকে আপনার পা খানি ঢাকলেই যেমন চলে; তেমনি আপনার নাক মুখ চোখ ঢাকুন আর হাতকে সংযত করুন। এই অল্প কিছু অভ‍্যাস পরিবর্তন করেই আপনি করোনা প্রতিরোধ করতে পারবেন ৯৫%.... বাঁকি পাঁচ শতাংশের জন্য ডাক্তারের উপর ভরসা রাখুন। পরামর্শ মতো ঔষধ খান, বিশ্রাম নিন, আলাদা থাকুন।

ভীত হয়ে মানসিক রোগী হবেন না। মৃত্যুর চেয়ে সত‍্য কিছুই নাই; পৃথিবীতে জন্ম নিলে আপনাকে মরতে হবেই। করোনা থেকে বাঁচতে জীবনে একবারই মরুন; ভয়ে বারবার না। মনে রাখবেন আপনার জীবন সুন্দর; তবে সেটা কেবলমাত্র উপভোগ করতে পারলেই!!

আপনি সচেতনতা অবলম্বন করুন, নিজ ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন। এবার জানাই অন্য পরামর্শ...

বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টিকারী আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও এর থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট উঠে এসেছে মহারাষ্ট্রের কভিড-১৯ টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ডা: সঞ্জয় ওক ও ডা: শশাঙ্ক যোশির প্যানেল আলোচনায়। পাঠকদের জন্য দরকারি পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হল-

১) কভিড-১৯ পজিটিভ হলেও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। কেবলমাত্র করোনার উপসর্গ দেখা গেলেই হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।

২) প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে প্রতিদিন ১০০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৫০ মিলিগ্রাম জিংক এবং ট্যাবলেট এইচসিকিউ ৪০০ মিলিগ্রাম টানা চারদিন খেতে দিতে হবে। এছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট অজিথ্রোমাইসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ৫ দিনের জন্য সেবন করতে হবে।

৩) করোনার রোগীদের মাঝে গুরুতর হওয়ার লক্ষণগুলো ৮-১০ দিনের মাঝে দেখা যায়।

৪) অধিকাংশ প্রাণহানী ৭-১৪ দিনের মধ্যে ঘটে থাকে। এই সময় অতিবাহিত হয়ে গেল রোগীর প্রাণ হারানোর ঝুঁকি কম থাকে।

৫) গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর কোন কাজের জিনিস নয়। ভেন্টিলেটরে রাখা রোগীদের ৮৮ শতাংশই মারা গিয়েছিল।

৬) উচ্চ প্রবাহের নেস্যাল কাননুলা অক্সিজেন হল করোনা রোগীদের একমাত্র কার্যকরি চিকিৎসা।

৭) রোগ নির্ণয়ের জন্য অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করা উচিত নয়।

৮) এখন ৫ থেকে ১০ শতাংশ জনগণের মধ্যে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে।

৯) অসুস্থতার ১০ দিন পরে ভাইরাস আর বংশ বিস্তার করতে পারে না। তাই এ সময় পরে ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হলেও তিনি আর অন্যের জন্য সংক্রামক নন।

১০) কিছু লোকের মধ্যে পরীক্ষা নেতিবাচক হতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিতে পারে।

১১) ডাক্তারদের কেবলমাত্র ক্লিনিক্যাল সন্দেহের ভিত্তিতে কভিড-১৯ চিকিৎসা শুরু করা উচিত নয়। আরো ভাল পরীক্ষা করা। ইসিজি এবং চেস্ট এক্সরে যদি স্বাভাবিক থাকে তবে পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।

১২) কোভিড পজিটিভ রোগী উপসর্গহীন হলে যোগাযোগ বন্ধ রাখা ও এইচসিকিউ প্রফিল্যাক্সিস ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত।

১৩) ভারতে করোনাভাইরাসের ১১ টি প্রতিরূপ এরই মধ্যে পাওয়া গেছে।

১৪) আমাদের পরের ২ বছর করোনাভাইরাসের সঙ্গে বেঁচে থাকতে হবে।

১৫) হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকদের তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিশেষ পরামর্শটি নিম্নরূপ:

ক) স্বাস্থ্যকর খান, সময়মতো খান, খানিকটা কম খান।
খ) ভাল প্রোটিন পরিপূরক নিন।
গ) ভিটামিন সি ৫০০ মিলিগ্রাম দৈনিক নিন।
ঘ) দৈনিক জিঙ্ক ৫০ মিলিগ্রাম।
ঙ) ভিটামিন ডি প্রতিদিন।
চ) দৈনিক সর্বনিম্ন ৮ ঘন্টা ঘুম।
ছ) যোগ,ইয়োগা, ব্যায়াম।
জ) তৈলাক্ত, মশলাদার খাবার, ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন যা আপনাকে গলা ব্যথার জন্য দুর্বল করে তোলে।

১৬) অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন, এটি আপনাকে দুর্বল করে তোলে। প্রতিটি পানীয় আপনার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা ৬ গুণ বাড়িয়ে তোলে।

১৭) সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন।  কাশি, সর্দি থাকলে বাড়িতে থাকুন এবং সামাজিক দূরত্ব স্থাপন করুন।

১৮) মাস্ক ব্যবহার করুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

১৯) অনিয়ন্ত্রিত আবেগগুলি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের মতোই খারাপ। মানসিকভাবে করোনাইজড হবেন না।

২০) স্ব-শৃঙ্খলাবদ্ধ হোন এবং করোনাকে ছাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন না।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2023 Eibela.Com
Developed by: coder71