সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনার ডিএনএ রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পৌঁছেছে। আসামিদের ডিএনএর সঙ্গে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট তদন্ত কর্মকর্তার হাতে এসে পৌঁছেছে। আসামিদের ডিএনএর সঙ্গে ঘটনাস্থলের ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে। এখন খুব শিগগিরই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
এর আগে, গত ১ অক্টোবর ও ৩ অক্টোবর ২ দিনে এ মামলায় গ্রেফতার ৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হয় ঢাকার ল্যাবে। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রথমে আদালতে এসে পৌঁছায়। পরবর্তীতে এ ফলাফল তদন্ত কর্মকর্তার হাতে আসে।
মামলায় আসামিরা হলো- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব ও জেলা পুলিশের অভিযানে আটক ৮ জন কারাগারে আছেন। গ্রেফতার সবাইকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com