যেকোনো একটা ইস্যু পেলেই হিন্দুদের দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙচুর শুরু হয়ে যায! এবার পাওনা টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের লক্ষ্মীবিলাস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে মিনি বেগম, মো. মঞ্জিল ও মো. রানাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয় ঝর্না মণ্ডল, বিশাখা রানী মণ্ডল, ভাগ্য মণ্ডল, আনন্দ মণ্ডল ও সাধনা মণ্ডলকে বেধড়ক মারপিট করে বাড়ির মন্দিরের বিশ্বকর্মা মূর্তিসহ চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দয়াল মণ্ডলের স্ত্রী সাধনা রানী মণ্ডল।
সাধনা রানী মণ্ডল জানান, কেয়াইন ইউনিয়নের লক্ষ্মীবিলাস এলাকার দয়াল মণ্ডল একই গ্রামের মৃত নূরু শেখের স্ত্রী মিনি বেগমের নিকট থেকে মাসিক সুদ হিসেবে বাইশ হাজার টাকা নেন। সুদের টাকা নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলেও মূল টাকা একসাথে ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন দয়াল মণ্ডল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার মিনি বেগমের সাথে দয়াল ও তার স্ত্রী সাধনার কথা কাটাকাটিও হয়। টাকা চাওয়ার অজুহাতে শনিবার সকালে মিনি বেগম ও তার ছেলে মঞ্জিল, রানা ও তার ভাতিজিসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে নিয়ে দয়াল মণ্ডলের বাড়িতে মারপিট ও প্রতিমা ভাঙচুর চালায়।
মিনি বেগম বলেন, আমি দয়াল মণ্ডলের কাছে দেড় লাখ টাকা পাই। দয়াল কোন টাকা আমাকে দেন নাই। আমরা কোন মূর্তি ভাঙচুর করিনি এবং ওদের মারিনি। এলাকায় কোন সাক্ষী পাবেন না। মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সাজানো। ওদের মূর্তি ওরাই ভেঙ্গেছে।
কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফ আলী জানান, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) রাজিবুল ইসলাম, সিরাজদিখান থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ এমদাদুল হক, সিরাজদিখান থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com