আমি একটা অসহায় হিন্দু পরিবারের মেয়ে। সবাই এদেশ থেকে হিন্দু উচ্ছেদের জন্য মুসলমানদের দায়ী করে। কিন্তু কেউ কি জানে যে এদেশ থেকে হিন্দু উচ্ছেদের জন্য হিন্দুদেরই অবদান কতটা? আজ আমি সেই কাহিনীই আপনাদের বলবো। আমি চট্টগ্রামের ৪৮৩, সদরঘাট রোড থেকে বলছি। আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়িটা আমাদের মৌরসি সম্পত্তি। এই সম্পত্তি নিয়ে একটা অর্পিত সম্পত্তির ট্রাইব্যুনাল কেইস আছে। এটি একটি বিবাদপূর্ণ সম্পত্তি। কিন্তু সুকুমার দাশ নামের এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এই সম্পত্তিটা নিয়ে আমাদের উপর প্রচন্ড মানসিক অত্যাচার করছে। সে জনৈক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা স্বপন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রীর সাথে অকহতব্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি করে স্বপন চৌধুরীর ইজারাভুক্ত সম্পত্তি নিজের স্ত্রী শিখা দাশের নামে হস্তান্তর করে নেন। তারপর থেকেই সুকুমার দাশ আমাদের উপর প্রচন্ড মানসিক অত্যাচার শুরু করে যাতে করে আমরা আমাদের দখলীকৃত সম্পত্তি ওর কাছে হস্তান্তর করি। প্রতিটা পদে পদে ওর আজেবাজে লোকজনের আনাগোনা, তাদের নোংরা কথার ভয়ে আমাদের সবসময় আতঙ্কে থাকতে হয়। ও সবসময় ছলে বলে কৌশলে আমাদের উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি আমাদের ছাদের একটা অংশ দখল করে সে "পালস ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি" নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে যার প্রধান অংশটা রাজ রাজেশ্বর নারায়ণ বাড়ীর দেবোত্তর সম্পত্তির দখলকৃত অংশের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখন সে আবার নিজের ইজারাভুক্ত সম্পত্তি ২০ - ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে "সাধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার" এর মিষ্টির কারখানা হিসেবে ভাড়া দিচ্ছে। গতকাল ফিল্মি কায়দায় এখানে এখন প্রচুর লোকজন এনে সে আমাদের একটা washroom যেখানে বাড়ির পুরুষেরা যায় সেই washroom এর কমোড ভেঙে ফেলেছে। আমরা কেউ কিছু বলতেও পারি নি কারণ উনার প্রচুর জনবল আর অর্থবল। কিছু হলেই উনি আমাদের হুমকি দেন, আইন আদালত না কি উনার পকেটে থাকে। উনি সবসময় উনার এই অবৈধ কাজগুলো শুরু করেন বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে। যাতে করে শুক্র ও শনিবার আদালত বন্ধ থাকে আর আমরা কোনভাবেই আদালতের শরণাপন্ন হতে না পারি। আদালত খুলতে খুলতে সে যেন তার এই কাজগুলো সেরে ফেলতে পারে। যেটা এই সময়ও করছে। আমরা সবসময় উচ্ছেদ আতঙ্কে আছি। আমি বুঝি না সুকুমার দাশ না হয় অত্যন্ত ইতর প্রাণীর শ্রেণীভুক্ত। কিন্তু সাধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার -এর মতো একটা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান কি করে এই নোংরা লোকের সাথে কাজ করে? কি করে একটা পরিবারের ভেতর একটা গোডাউন ভাড়া নিতে পারে? যার কোন নিজস্ব রাস্তা নেই, যেখানে যেতে হলে সবসময় আমাদের ঘরের উপর দিতেই যেতে হবে। একটা মিষ্টির কারখানা যদি এটা হয় তাহলে এখানে সবসময় বাহ্যিক লোকের আনাগোনা হবে। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?
আমি আইন তেমন একটা বুঝি না। তাই আমি জানতে চাইছি এভাবে ইজারাভুক্ত সম্পত্তি কি অবৈধভাবে হাত বদল করা যায়? "সাধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার" কি জানে না যে এটি একটি বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি? তাহলে তারা কিভাবে এই সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ায়?? আমার পরিবারে আমার দুই ৮০ উর্ধ্ব জ্যাঠু, আমার ষাটোর্ধ মা, আমি আর আমার ছোটবোন সবসময় আমাদের একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁইটা হারানোর একটা আতঙ্কে থাকি। আমি আমার সনাতনী ভাইবোনদের কাছে এক সনাতনী বোন হিসেবে সাহায্যের আকুল আবেদন করছি দয়া করে নিঃস্বার্থভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। আমাদের অসহায় পরিবারটাকে এভাবে ধ্বংস হতে দেবেন না। দয়া করুন আমাদের উপর। সুকুমার দাশ আর সাধু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার কে থামান। আমি সকল শুভবুদ্ধিধারী সনাতনী ভাইবোনদের করুণা ভিক্ষা চাইছি। আজ লক্ষ্মীপূজার দিন। আমরা পূজার কোন কাজই করতে পারছি না কারণ ওর লোকজন সবসময় আমাদের একমাত্র রাস্তায় যাতায়াত করছে। আমি সকলের দয়া ভিক্ষা চাইছি।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com