সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সায়রাগুল সাউতবে নামের একজন পেশাদার চিকিৎসক ও শিক্ষক এই অভিযোগ তোলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র’ থেকে দুই বছর আগে সায়রাগুল মুক্তি পান। কিন্তু সেখানকার বন্দিশিবিরে সহ্য করা অপমান ও সহিংসতা তাকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।
সম্প্রতি সায়রাগুল নিজের লেখা একটি বই প্রকাশ করেছেন। তাতে উল্লেখ করা দিনগুলোর স্মৃতি আজও তাকে রাতে ঘুমোতে দেয় না। বর্তমানে তিনি শিনজিয়াংয়ের ওই বন্দিশিবির থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে সুইডেনে থাকলেও পুরোনো দিনের আতঙ্ক তাকে আজও তাড়া করে বেড়ায়। আজ একজন সফল চিকিৎসক ও শিক্ষাবিদ হওয়ার পরেও যা ভুলতে পারেননি সায়রাগুল।
বই প্রকাশের পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ওই ক্যাম্পে প্রতি শুক্রবার আমাদের জোর করে শুকরের মাংস খাওয়ানো হতো। ইচ্ছা করেই মুসলিমদের কাছে পবিত্র ওই দিনটি বেছে নিয়েছিল ওরা। কেউ ওই মাংস খেতে না চাইলে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়া হতো।’
দুই সন্তানের মা সায়রাগুল সেই দুর্বিষহ দিনগুলোর কথা মনে করে বলেন, ‘আসলে ওরা আমাদের চিন্তাধারা, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার-আচরণগুলোকে আমাদের মন থেকে মুছে দিতে চাইত। ওদের প্রচেষ্টা যে সত্যিই কাজ করে তার প্রমাণও বহুবার পেয়েছি। যখনই বাধ্য হয়ে শুকরের মাংস খেতাম তখনই নিজেকে পুরো অন্য মানুষ মনে হতো। আমার চারিদিক অন্ধকার হয়ে যেত। সত্যি এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর ছিল।’
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com