https://www.facebook.com/photo.php?fbid=2641928202726859&set=pcb.2641928279393518&type=3&theater
ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা পোষ্ট ফেসবুকে শেয়ার করার অভিযোগে ভোলার মনপুরায় শ্রীরাম চন্দ্র দাস নামে ৩৫ বছরের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মনপুরা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছিল শুক্রবার (১৫ মে) দুপুরে। শ্রী রাম চন্দ্র দাসের ফাঁশির দাবীতে জুম্মার নামাজের পরে মুসল্লীরা বিক্ষোভ এবং স্থানীয় হিন্দুদের দোকানে হামলা চালালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
সন্ধ্যার পর ফের উত্তাল হয়ে উঠে রাতের মনপুরা। ওসি সাকাওয়াত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও সন্ধ্যার পর থেকে গ্রেফতারকৃত শ্রীরাম চন্দ্র দাস এর ফাঁসির দাবীতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে মুসল্লীরা। এসময় তারা ফের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি ঘর ভাংচুর করে। এতে চরম আতংকিত হয়ে পরেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীনতা বোধ করায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। জরুরীভাবে নিরাপত্তা প্রয়োজন তাদের।
ইতিমধ্যে দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হিন্দুর দোকান আর বাড়ি ঘরে হামলা হয়ে গেছে। এতে পুরো মনপুরায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরে। সর্বশেষ খবর লিখা পর্যন্ত চরম আতংকে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের ভোলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছেন ভোলার হিন্দু নেতারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত প্রয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স, র্যাব এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে ভোলার মনপুরা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক। কেউ অপরাধ করে থাকলে তার জন্য দেশের প্রচলিত আইন আছে, প্রচলিত আইনে তার বিচার হোক, কিন্তু কেন নিরীহ হিন্দুদের উপর এই হামলা? দেশে করোনা পরিস্থিতির সুযোগে বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা আর নাশকতা ঠেকাতে রাষ্ট্রের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করছি, এঘটনার সাথে প্রকৃত অপরাধিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com