ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে রবিবার হওয়া দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ দুই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪২ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার দুপুর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সংঘর্ষের ‘প্রধান দুই হোতা’ কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লাকে আটক করা হয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেওয়া আবু কাউসার মোল্লাকে রবিবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক এলাকা এবং অপর পক্ষের জিল্লুর রহমানকে সোমবার সকালে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার বিরোধ চলছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলা এ বিরোধের জেরে রবিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার (৪৫) এক পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা স্লোগান’ দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। ওই মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়।
এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com