eibela24.com
শুক্রবার, ১৯, এপ্রিল, ২০২৪
 

 
শ্রীমৎ পঞ্চানন গোস্বামী
আপডেট: ১০:৪৩ pm ০২-১০-২০২০
 
 


শ্রী শ্রী দীনদয়াল শ্রীমৎ পঞ্চানন গোস্বামী দুই বঙ্গেই অগনিত ভক্ত ও শিষ্যদের জীবনের আদর্শ ও দিকদর্শন কারী মহাপুরুষ। তার অনন্য জীবন সান্নিধ্য লাভে অনেক বদ্ধজীব ও মুক্তির আস্বাদ পেয়েছে। বর্তমান সময়ে ও তার প্রদর্শিত পথে অসংখ্য ভক্ত বৃন্দ ও অনুগামীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। 

ইংরেজি ১৮৯৮ সনে (বাংলা ১৩০৫ সাল ১লা বৈশাখ বৃহস্পতিবার, পূর্নিমা তিথি) শ্রী শ্রী পঞ্চানন গোস্বামী জন্ম গ্ৰহন করেন। জন্ম স্থান সাড়াভিটা গ্ৰাম, ডুমুরিয়া উপজেলা, খুলনা। পিতার নাম উমেশ চন্দ্র বালা, মাতার নাম জবা কুসুম দেবী। উমেশ চন্দ্র বালার চার পুত্র ও এক কন্যা ছিলো। প্রথম পুত্র-বিশ্বম্ভর বালা, দ্বিতীয় পুত্র-যদুবর বালা, তৃতীয় পুত্র- দর্শন বালা, চতুর্থ পুত্র- পঞ্চানন বালা, ৫ম কন্যা সাবিত্রী দেবী। উমেশ চন্দ্র বালার চতুর্থ পুত্র- পঞ্চানন, পরবর্তী কালে মহান গুরু শ্রীমৎ পঞ্চানন গোস্বামী নামে দেশে দেশে সুপরিচিত। ১৯১৮ সালের কাছাকাছি সময়ে সংসার ত্যাগ করে সন্নাস ব্রত গ্ৰহন করেন এবং গুরুদেব শ্রীমৎ নেপাল চাঁদ গোস্বামীর সান্নিধ্যে থেকে, গুরুদেবের নির্দেশিত পথে জন কল্যাণ কারি কর্ম যোগে নিযুক্ত হন। 
আনুমানিক ১৯৩৪ সালে যোগাচার্য্য শ্রীমৎ নেপাল চাঁদ গোস্বামীর মহাপ্রায়ানের পর শ্রীমৎ পঞ্চানন গোস্বামী একক ভাবে জন কল্যাণ কারী কর্ম যোগে নিজেকে বিলিয়ে দিতে থাকেন। ইংরেজি ১৯৩৫ সালে যশোর জেলার  নোয়াপাড়ার কাছাকাছি প্রথমে সুজাতপুরে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। সেই আশ্রম আট বছর চলার পর পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে হাটগাছা গ্ৰামে স্থানান্তরিত করেন। তার পর "হাটগাছা রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম "থেকে তাঁর লীলা কান্ড বিস্তার লাভ করতে থাকেন। এরপর ইংরেজি ১৯৫১ সালে পরিব্রাজক রূপে ভারত ভ্রমনে বের হয়ে ফেরার পথে ১৯৫৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়" ঠাকুর নগর আশ্রম "প্রতিষ্ঠা করেন। ঠাকুর নগর আশ্রম শ্রীমৎ পঞ্চানন গোস্বামীর প্রতিষ্ঠিত দ্বিতীয় আশ্রম। এই আশ্রমে রাধাকৃষ্ণর নিত্য পূজা, প্রার্থনা হয়। বর্তমানে আশ্রমটি "ঠাকুর নগর পঞ্চানন সেবাশ্রম "নামে অধিক পরিচিত। তারপর ১৯৫৮ সালে সাড়াভিটাতে তৃতীয় আশ্রম "সাড়াভিটা রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম "প্রতিষ্ঠা করেন। ঐ সময়ে তাঁর লীলা কান্ড সর্বাধিক বিস্তৃতি লাভ করে। শেষে আরও সতের বছর লীলা প্রচারের পর ইংরেজি ১৯৭৫ সালে (২১ শে শ্রাবণ, ১৩৮২সন, বৃহস্পতিবার) লীলা সম্বরন করেন।

নি এম/