eibela24.com
শুক্রবার, ২৯, মার্চ, ২০২৪
 

 
যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল, তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করেছে : প্রধানমন্ত্রী
আপডেট: ১১:০৮ pm ২৩-০৮-২০২০
 
 


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল তারাই তাকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও লক্ষ্য ধ্বংস করাই খুনিদের লক্ষ্য ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রবিবার ( ২৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে জাতির পিতার ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এতে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করা গণহত্যাকারী, নারী ধর্ষণকারীদের এমপি, মন্ত্রী বানিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল জিয়া। তিনি জাতির জনকের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেন। জিয়ার মতোই স্বাধীনতাবিরোধী ও জাতির পিতার হত্যাকারীদের মদদ দিয়েছেন বেগম জিয়া।'

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকবে, যাতে দেশের একটি মানুষও গৃহহীন না থাকে। প্রতিটি মানুষকে অন্তত আমরা একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেব। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশের দায়িত্ব নিয়ে তিনি যেভাবে দেশকে পরিচালনা করছিলেন, তখন প্রয়োজন ছিল দেশের সব মানুষের একাত্ম হয়ে তার পাশে দাঁড়ানো এবং সহযোগিতা করা। বারবার আস্থা রেখে ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘যে আদর্শ এবং লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শ এবং লক্ষ্য ধ্বংস করাই ছিল খুনিদের লক্ষ্য। তারা কখনোই চায়নি বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। এই চক্রান্তের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক যেমন জড়িত, তেমনি জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন। এই কারণে যে খন্দকার মোশতাক যখন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তখন জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদ মোশারফ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধে যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল তাদেরকে বেছে বেছে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর মেধাবী অফিসারদেরও একে একে হত্যা করা হয়েছে। জিয়া কোনোদিন তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেয়নি। এ ছাড়া ছাত্রলীগ-যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের কত নেতাকর্মীকে গুম করেছে তার শেষ নেই।’

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করার পর সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মময় ও সংগ্রামী জীবনের উপরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।এছাড়াও অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন এমপি আসাদুজ্জামান নূর। 

নি এম/