eibela24.com
শুক্রবার, ২৯, মার্চ, ২০২৪
 

 
ফের পাকিস্তানে ২ হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ
আপডেট: ০১:২৬ pm ২৬-০৪-২০২০
 
 


এমন এক সময়ে যখন বিশ্ব মারাত্মক করোনা ভাইরাসের এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুরা তখন ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার নতুন কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সিন্ধ প্রদেশে। বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও মেলেনা সুবিচার। বিগত কয়েক দশকে সিন্ধ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন বহু হিন্দু ও শিখ পরিবার।

২০১৬ সালে সিন্ধ প্রদেশের আইনসভায় জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে বিল পাশ হয়েছিল। তার পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আশ্বাস কোনো কাজে আসছে না। সব মিলিয়ে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের যে প্রত্যহ নির্যাতনের শিকার হতে হয় তা স্পষ্ট।  সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছে সিন্ধ প্রদেশের একটি হিন্দু পরিবার। ভিডিওটিতে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘তাদের পরিবারের দুই নাবালিকা সদস্য সুথি ও শমাকে অপহরণ করেছে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের সদস্য পির ফয়জল শাহ জিলানির ভাই।

মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উলটে অপহরণকারীর পক্ষেই দাঁড়িয়েছে তারা। সুথি ও শমাকে জোর করে বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে। আমরা এত অত্যাচার আর সইতে পারছি না। এবার দেশ ছেড়েই আমাদের চলে যেতে হবে।’ সিন্ধু প্রদেশ এবং পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অমীমাংসিত ঘটনার খবর পাওয়া যায় যেখানে হিন্দু নাবালিকা মেয়েদের বিবাহের জন্য জোর করে অপহরণ করে এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছে মুসলমানরা।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের আদমশুমারি মতে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১.৮৫ শতাংশ হিন্দু। ‘গ্লোবাল  হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স’ (GHRD) নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার মতে, পাকিস্তানে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার হিন্দু ও খ্রিস্টান তরুণীকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। প্রতিমাসে গড়ে ২৫ জন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরুণীর অপহরণ হয়।

নি এম/