eibela24.com
শুক্রবার, ২৯, মার্চ, ২০২৪
 

 
গাজীপুর সিটি মেয়র মান্নানসহ ১০ জনকে জেলে প্রেরণ
আপডেট: ১০:৫১ am ১৬-০৪-২০১৬
 
 


গাজীপুর: মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় বাসে অগ্নিসংযোগের মামলায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানসহ গ্রেফতারকৃত ১০ জনকে জেলহাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

শনিবার বিকালে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মোঃ ইকবাল মাসুদ এ আদেশ প্রদান করেন। 

এর আগে শুক্রবার জয়দেবপুর থানা পুলিশের এসআই মো. আহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস পোড়ানোর অভিযোগে অধ্যাপক এমএ মান্নানসহ ৪০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিএনপিপন্থী ১১ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
 
এ মামলায় অধ্যাপক এমএ মান্নানসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, অধ্যাপক এমএ মান্নানের ভাই বিএনপি নেতা আব্দুল কাদির, কাউলতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ডিলার, রফিজ উদ্দিন, সমর্থক শাহিন আলম, হাবিবুল্লাহ, এসএম ওয়াসিম, সব্দুল আলী, মো. আলম ও গাড়ি চালক মো. মিজানুর রহমান মিজান।
 
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, গাজীপুর সিটির মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান শুক্রবার তার নিজ বাসভবন সালনায় এক- দেড়’শ নেতাকর্মী বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে আরো অস্থিতিশীল করার জন্য গাজীপুর চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছে। পরে পুলিশ শুক্রবার রাত আটটা ২০ মিনিটের দিকে চান্দনা চৌরাস্তায় গিয়ে দেখেন বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চান্দনা স্কুলের সামনে কেপি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করে এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। 

এসময় ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় ৯ জনকে আটক করা হয়। পরে ধৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের নির্দেশে তারা বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং অধ্যাপক এমএ মান্নান কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে চলে যায়। পরে ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় ধাওয়া দিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ফাঁড়ির সামনে থেকে মেয়র মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। 

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ অধ্যাপক এমএ মান্নানসহ ১০ জনকে জয়দেবপুর থানায় আনা হয়। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে গাজীপুর আদালতে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, গাজীপুরে যাত্রীবাহীবাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়র এম এ মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আদালত কতৃর্ক অভিযোগপত্র গৃহিত হলে ওই বছরের ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। গ্রেফতারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।
 
এদিকে গত ২ মার্চ অধ্যাপক মান্নান জামিনে মুক্তি পান। অধ্যাপক এমএ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করে দেওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ গত সোমবার ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরে গত বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন। 

এইবেলা ডটকম/এসবিএস