সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে দাফন করা হয়।এরপর বনানী জামে মসজিদের সামনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে।
বেলা ১১টার আগে বনানী জামে মসজিদের সামনে জাতীয় পতাকা ও আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকায় আচ্ছাদিত অবস্থায় সাহারা খাতুনের মরদেহ রাখা হয়। সেখানে জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ, ঢাকার দুই সিটি মেয়র, ১৪ দল, জাসদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় সাহারা খাতুনের প্রতি। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার মধ্যরাতে সাহারা খাতুনের মরদেহ ব্যাংকক থেকে ঢাকা এসে পৌঁছায়। রাতে বিমানবন্দরে সাহারা খাতুনের মরদেহ গ্রহণ করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গ্রহণের পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
৭৮ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ৩ জুন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ৬ জুলাই তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তাঁর বাবার নাম আবদুল আজিজ ও মায়ের নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাঁকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com