সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সোমবার, ২৮শে মাঘ ১৪৩১
সর্বশেষ
 
 
৩৬ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
প্রকাশ: ০১:২৫ pm ১৯-১২-২০২২ হালনাগাদ: ০১:২৫ pm ১৯-১২-২০২২
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনা আবারও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের মুকুট পড়লো মেসির আর্জেন্টিনা। মেসি পেলেন তার সেই কাঙ্খিত ট্রফি।

প্রথমার্ধের ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও এমবাপের দুই মিনিটের ম্যাজিকে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-২ এ সমতায় থেকে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ করে ফ্রান্স৷ অতিরিক্ত সময়েও চলে টানটান উত্তেজনা। অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও এমবাপে গোল করলে ৩-৩ সমতায় থেকে টাইব্রেকারে যায় ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত জয় লাভ হয় আর্জেন্টিনার।

শুরুতেই আর্জেন্টিনা ছিল দুর্দান্ত। ম্যাচের ৪ মিনিটে ডি পল এবং আলভারেজের দারুণ বোঝাপড়ায় ডি পলের বাড়ানো বলে আলভারেজ শট নিলেও রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন। ৬ মিনিটে ম্যাক এলিস্টারের দূরপাল্লার শট সোজা তালুবন্দি করেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক লরিস। এর ঠিক ২ মিনিট পর আবারও আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা।

পরেরবার ডি পল ডিবক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট নিলে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ভারানের পায়ে লেগে বল বাইরে চলে গেলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। অবশ্য সেই কর্নার কাজে লাগাতে পারেননি আলবিসেলেস্তারা। ১৬ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার ডি পলের ডান পাশ থেকে বাড়ানো ক্রসে ডি মারিয়ার ডান পায়ের শট চলে যায় গোলবারের অনেক উপর দিয়ে।

ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়াকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ফ্রেঞ্জ ডিফেন্ডার ডেম্বেলে। রেফারি সাথে সাথেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মেসি। বিশ্বকাপে এটি তার ৬ষ্ঠ গোল।পুরো মাঝমাঠেই যেন ফ্রান্সকে আটকে রাখে আর্জেন্টিনা। বল দখলে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও ছিল না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত কাউন্টার এটাকে খেই হারিয়ে ফেলে ফ্রান্স। মাঝমাঠ থেকে মেসির পাস থেকে আলভারেজ বল পেলে সেটি বাড়ান ম্যাকএলিস্টারের উদ্দেশ্যে, দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে তিনি বল দেন ডি মারিয়াকে। তিনি আর মিস করলেন না।

কোপা আমেরিকার ফাইনাল, ফিনালিসিমার পর আরও একটি ফাইনালে গোল করলেন এই জুভেন্টাস তারকা। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধেই জিরু ও ডেম্বেলেকে পাল্টে ফেলেন ফ্রান্স কোচ। তবুও তাদের ভাগ্যের চাকা ফেরেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৫১ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ডি বলের ডিবক্সের ভেতর থেকে নেওয়া দুর্দান্ত ভলি সোজা লরিসের হাতে গিয়ে পড়ে। ৬০ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। বাম পাশ থেকে আলভারেজের নেওয়া শট দারুণভাবে সেভ করেন লরিস।

ম্যাচ যখন শেষের দিকে যাচ্ছে ঠিক সে সময়েই যেন জ্বলে ওঠেন এমবাপে। মাত্র ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে আর্জেন্টিনার স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দেন এই পিএসজি তারকা। ৭৮ মিনিটে কুলো মুয়ানিকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ওতামেন্দি। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান।

স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি করেন এমবাপে। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও গোল করে এমবাপে। ৮১ মিনিটে এমবাপের দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে দলকে ২-২ এ সমতায় ফেরান এই পিএসজি তারকা। দুই গোল দিয়ে যেন আরো উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকে ফ্রান্স।

৯৬ মিনিটে কামাভিঙ্গার শট দারুণভাবে সেভ করেন এমি মার্টিনেজ। এর ঠিক এক মিনিট পর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে মেসির দূর পাল্লার বুলেট গতির শট হুগো লরিস ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। এর কিছুক্ষণ পর রেফারি বাঁশি বাজালে ২-২ সমতায় থেকেই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।

অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচের ১০৮ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে দলকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মেসি। এটি বিশ্বকাপে তার ৭ম গোল। মেসির এই গোলের রেশ না কাটতে কাটতে এমবাপের আবার গোল। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৩-৩ সমতায় এনে টাইব্রেকারে নিয়ে যান এই তারকা।

ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে আবারও দলকে রক্ষা করলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এবার তিনি বিশ্বকাপ এনে দিলেন। স্পট কিক থেকে ফ্রান্সের কোম্যানের পেনাল্টি রুখে দেন মার্টিনেজ এবং চুয়ামেনি মারেন গোলবারের বাইরে দিয়ে। অন্যদিকে চারটি স্পট কিক থেকে চারটিতেই গোল করে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতলো আর্জেন্টিনা।

এইবেলাডটকম/মভশ

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2025 Eibela.Com
Developed by: coder71