গত বিশ দিনে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অন্তত ছয়’টি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়চূড়া দখলে নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ এই পাহাড়ের চূড়াগুলির দখল নেওয়ার চেষ্টায় ছিল চীনের সেনাবাহিনীও৷ কিন্তু তাদের আগেই সেখানে পৌঁছতে সক্ষম হন ভারতীয় জওয়ানরা৷
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদনে এমনই দাবিকরা হয়েছে৷
চীনের সেনাবাহিনী এই পাহাড়ের চূড়াগুলি দখল করে ফেললে ভারতীয় সেনার গতিবিধির উপরে সহজেই নজরদারি চালাতে পারত তারা৷ কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় সেনা৷
সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, 'গদ ২৯ আগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয়সপ্তাহের মধ্যে ছ'টি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ের চূড়া দখল নেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ যে পাহাড়ের চূড়াগুলি আমাদের বাহিনী দখলে নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, মগর হিল, গুরুং হিল, রেচেন লা, রেজাং লা, মোখপরিএবং ফিঙ্কার ফোরের কাছাকাছি একটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় চূড়া৷
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পাহাড়ের চূড়াগুলি চীনের সেনাবাহিনীও দখল করার চেষ্টা করেছিল৷ যার জেরে প্যাংগং লেকের উত্তর থেকে দক্ষিণ অংশের মধ্যে অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে শূন্যে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে৷
তবে যে ছ'টি পাহাড়ের চূড়ার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতীয় ভূখণ্ডেই অবস্থিত বলে ওই শীর্ষ সরকারি আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন৷ এই পাহাড়ের চূড়াগুলি দখলে থাকায় কৌশলগত ভাবে অনেকটাই সুবিধেজনক অবস্থানে থাকল ভারত৷
ভারতীয় সেনা এই পাহাড় চূড়োগুলি দখল করার পরেই রেজাং লা এবং রেচেন লা-র কাছাকাছি তিনহাজার অতিরিক্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে চীন৷ মলডো সেনা ঘাঁটি থেকে অতিরিক্ত বাহিনী এনে এই এলাকা গুলিতে মোতায়েন করেছে চীনের সেনাবাহিনী৷
চীনা আগ্রাসনের পর থেকেই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নারভানের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এবং তাঁদের পরামর্শ মেনেই লাদাখে প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সেনা৷
নি এম/