শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
সর্বশেষ
 
 
যেকোনও মূল্যে আমাদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করব: ভারতের বিমানবাহিনী প্রধান
প্রকাশ: ০৫:৩০ pm ২০-০৬-২০২০ হালনাগাদ: ০৫:৩০ pm ২০-০৬-২০২০
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


ভারত-চীন চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল রাকেশ কুমার সিং ভাদোরিয়া বলেছেন, ‘আমরা যেকোনও মূল্যে আমাদের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করব। আমরা যেকোনও পরিস্থিতির জবাব দিতে প্রস্তুত। আমাদের সশস্ত্রবাহিনী সবসময় প্রস্তুত এবং সতর্ক রয়েছে।’ 

শনিবার (২০ জুন) গণমাধ্যমে বিমানবাহিনীর প্রধানের ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে।

মুক্রবার হায়দ্রাবাদে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স একাডেমির পাসিং আউট প্যারেডে অংশ নিয়ে বিমানবাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদোরিয়া বলেন, ‘এটি খুব স্পষ্ট হওয়া উচিত যে, আমরা যেকোনও পরিস্থিতির জবাব দিতে ভালোভাবে এবং যথাযথভাবে প্রস্তুত। আমি দেশকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং গালওয়ান উপত্যকায় সাহসী জওয়ানদের বলিদান কখনও ব্যর্থ হতে দেবো না।’

এদিকে, ভারত-চীন চলমান উত্তেজনার মধ্যে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা ভারতের সমস্ত সীমান্ত সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। একইসঙ্গে ভারতীয় অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে জরুরি ভিত্তিতে ২০ দফা সামগ্রীর অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এসব সামগ্রী সরবরাহের নির্দেশিকা গেছে।

এমনভাবে স্টক পাঠাতে বলা হয়েছে, যাতে অন্তত ১০ দিনের ‘যুদ্ধ’ একটানা চালানো যায়। অর্ডার দেওয়া সামগ্রীর মধ্যে অস্ত্র ছাড়াও রয়েছে, কোট ইসিসি (এক্সট্রিম কোল্ড কন্ডিশন), গ্লেসিয়ার ক্যাপ, সাপ্লাই ড্রপিং ইকুইপমেন্ট এবং ম্যান-প্যারাস্যুট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেনাবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে, অবিলম্বে অন্তত ২০০ মাইন প্রোটেকডেট ভেহিকল দরকার।

এদিকে, চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে লাদাখ সীমান্তে যদি কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, সেজন্য ভারত সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক বলেছেন, ২০ জন শহীদ সেনার আত্মবলিদান বৃথা যাবে না। ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাতে প্রস্তুত।

সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে শনিবার গণমাধ্যমে প্রকাশ, চীনকে মোকাবিলা করতে যে বিকল্পগুলো নিয়ে ভাবা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, লিমিটেড মিলিটারি অ্যাকশন এবং প্রিসিশন স্ট্রাইক। ‘প্রিসিশন গাইডেড মিউনিশন’ হল স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত টার্গেট ধ্বংস করে ফিরে আসা। বালাকোটে ওই প্রক্রিয়া সাফল্য পেলেও এবার প্রতিপক্ষ প্রবল শক্তিশালী চীন হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলাদাভাবে ভাবতে হচ্ছে। কারণ, তিব্বতকে মাঝখানে রেখে শুধুমাত্র ভারতকে টার্গেট করে বেইজিং ১৪টি এয়ারবেস তৈরি করেছে বলে জানা গেছে। চীনের সঙ্গে উত্তর সীমান্ত বরাবর ভারতের রয়েছে চারটি আর্মি এবং তিনটি এয়ারফোর্স কমান্ড। সেজন্য ভারতকে প্রত্যাঘাত প্রতিহত করার অস্ত্র ও কৌশল তৈরি রাখতে হচ্ছে।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71