ইরান সরকার অনেকটাই চাপে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে । দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভে একপ্রকার বাধ্য হয়ে মোরালিটি পুলিশ বা নীতি পুলিশ বিলুপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল। তবে এতেও বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ প্রশমিত হয়নি বরং বেড়েছে। আজ সোমবার গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয়েছে, দেশটির বিক্ষোভকারীরা চলতি সপ্তাহে তিন দিনের জন্য ধর্মঘট ডেকেছেন।
নতুন এই ধর্মঘটের ডাক দেশটির সরকারকে আরও চাপের মধ্যে ফেলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে দেশটির মোরালিটি পুলিশর বিলুপ্তি কি আসলে ঘটেছে কিনা তা নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা আছে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে নিশ্চিত করে এখন পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি। গতকাল রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে আইনপ্রণেতা নেজামুদ্দিন মৌসাভি দেশটির আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ইসনাকে বলেছেন, সরকার নাগরিকদের প্রকৃত দাবির প্রতি মনোযোগ দিচ্ছেন। তবে তিনি মোরালিটি পুলিশের বিলুপ্তি নিয়ে কিছু জানাননি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কুর্দি তরুণী মাশা আমিনি (২২)। এর তিনদিন পর পুলিশি হেফাজনে আমিনির মৃত্যু হয়। তার পরিবার ও বহু ইরানির ধারণা, পুলিশের নির্যাতনের কারণে আমিনির মৃত্যু হয়েছে। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এই দাবি অস্বীকার করেছে। এর জেরে ইরানজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বিক্ষোভে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর তাণ্ডবে চার শতাধিকেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে দাবি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। তবে ইরান সম্প্রতি স্বীকার করেছে, বিক্ষোভে ২০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও আছেন।
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com