আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মা তার সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ঘটনা তো খুব স্বাভাবিক। তবে সন্তান নিজের বাবাকে স্নেহে দুধ খাওয়ানোর ঘটনা বিরল। এ বার সেই কাজ করেই শিরোনামে এলেন হেলেন ফিৎজসিমনসও। ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবাকে আরও কয়েকটা দিন বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
৪০ বছর বয়স্ক হেলেন জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে অস্থিমজ্জায় ক্যান্সার ধরা পড়ে ব্রিটিশ নাগরিক ইস্টমন্ডের। এর দিন কয়েক বাদে তাঁর প্রস্টেটে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্রমে শারীরিক অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়।
তাই বাবাকে বাঁচানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন হেলেন। কারণ নিজে পড়াশোনা করে তিনি জেনেছেন, মানুষের দুধ ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য খুবই উপকারী। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই করতে সাহায্য করে। আর হেলেনের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তাঁর বাবা মিস্টার ইস্টমন্ড আর্থার (৭৩) এবং মা জেনের (৬৯)। চিকিত্সকদের পরামর্শ মেনে প্রতিদিন ৬০ মিলিলিটার করে মেয়ের স্তন্যদুগ্ধ পান করেন ইস্টমন্ড।
এই পরিস্থিতিতে হেলেন সেই সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়ায় বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না হেলেনের। তাঁর কথায়, ‘‘আমার এই সিদ্ধান্তে যে বিতর্ক হবে আমি জানতাম। তবে বাবাকে বাঁচানোর জন্য এ ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না। প্রস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ার পরও ১৬ মাস বেঁচে আছে বাবা। আমার বিশ্বাস স্তন্যদুগ্ধই এর একমাত্র কারণ।’’
হেলেনের দুই সন্তান রয়েছে। ছোট ছেলের বয়স এক বছর। ছেলেও মাতৃদুগ্ধ পান করে। একই সঙ্গে বাবাকে বাঁচাতেও সেই দুধই ওষুধের কাজ করছে।
এইবেলাডটকম/এআরসি
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com