পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবার করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলো ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করে সিল করে দিচ্ছে। এসব স্থানে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। সেখানে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কাউকে বাইরে বেরও হতে দেওয়া হবে না।
হটস্পট এলাকার মানুষ যাতে করোনার কোপে না পড়ে, সে লক্ষ্যে সেখানে স্বাস্থ্য পরিসেবা আরও উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব হটস্পট এলাকা থেকে যাতে কোনো করোনার জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এর আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এসব এলাকার মাছ, মাংস ও সবজির বাজারও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এক সংবাদ সম্মেলনে হটস্পট এলাকাগুলা সিল করে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেছেন, মূলত যেসব এলাকায় করোনা পজিটিভ, সেসব এলাকাগুলো রাজ্য সরকার সিল করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সেসব এলাকায় লকডাউন আরও কঠোর করা হবে।
রাজীব সিনহা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনায় আরও ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৮৯ জন। আর এই রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬–তে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি। ৫ জনই রয়েছে।
মুখ্য সচিব কোন কোন এলাকা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার তালিকা দেননি। তবে ৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৭টি এলাকাকে হটস্পট এলাকা হিসেবে চিহিত করে তার তালিকা দিয়েছিলেন। এই তালিকায় রয়েছে দার্জিলিংয়ের কালিম্পং, নদীয়ার তেহট্ট, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কলকাতার বিভিন্ন এলাকা এবং আলীপুর ও এর আশপাশের এলাকা। আর এই হটস্পটগুলোর আওতায় এখন রয়েছে কলকাতার চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, জাতীয় জাদুঘর, হাওড়া ও শিয়ালদহ রেলস্টেশন ইত্যাদি।
নি এম/