পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান পদ থেকেও ইমরান খানকে সরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূলত তোষাখানা থেকে উপহার বিক্রির কাণ্ডেই তাকে এ পদের অযোগ্য মনে করছে ইসিপি। এরইমধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে পিটিআই বিদেশ থেকে অবৈধ মুদ্রা পেয়েছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে তা নিয়েও শুনানি শুরু করতে যাচ্ছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। তবে ইসিপির এমন আচরণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র পিটিআই নেতারা।
তারা এখন নির্বাচন কমিশনের কাছে এ নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। কারণ, একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে কে থাকবেন তা নিয়ে অন্য কারও আইনি ক্ষমতা থাকার কথা না।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, সরকারী কর্মকর্তা বাদে সকল পাকিস্তানি নাগরিকের রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা, বা সদস্য এবং নেতা হওয়ার অধিকার রয়েছে।
তবে ২০২৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ নির্বাচন আইনের বিরুদ্ধে পিটিশনের শুনানি করার সময় রায় দিয়েছিল যে, সংবিধানের ৬২ এবং ৬৩ অনুচ্ছেদের অধীনে অযোগ্য ঘোষিত ব্যক্তি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রধান হতে পারবেন না।
এর আগে ৬২(১)(এফ) ধারার অধীনে সর্বোচ্চ আদালত পিএমএল-এন-এর প্রধান হিসেবে নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করার পর এই রায়টি তার ক্ষমতাচ্যুতির পথ তৈরি করেছে। এবার একই আইনে ইমরান খানও দলীয় প্রধানের পদ হারাতে পারেন।
এর আগে পিটিআই চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
সে হিসেবে তিনি দেশটির আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একইসাথে তার নির্বাচনী আসনটিও শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এইবেলাডটকম/মভশ
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com