শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০
সর্বশেষ
 
 
জনমনে বন্যার আতংক
কিশোরগঞ্জের হাওরে বিপদ সীমানার উপরে পানি
প্রকাশ: ১০:৪০ pm ২১-০৭-২০২০ হালনাগাদ: ১০:৪০ pm ২১-০৭-২০২০
 
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
 
 
 
 


কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামই, বাজিপুর উপজেলা ও পাশ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে বন্যার পানি বিপদ সীমার উপরে দিয়ে ভয়ছে ব্যাপক ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট ব্রীজ কার্লভাট এবং অসংখ্য বাড়ীঘর। জন জীবনে নেমে আসছে বহুমুখী সংকট এছাড়া ও আমন ধানের জমি সহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জনমনে বন্যার আংতক বিরাজ করছে। কিশোরগঞ্জ জেলার সর্বশেষ পূর্বাংশে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেরার সীমান্তর্বী অষ্টগ্রাম উপজেলা ভারতের বরাক নদী সিলেটে প্রবেশের পর কালনী কুশিয়ারা নাম ধারন করে একটি আব্দুল্লাহপুর কাকাইল চেও হয়ে ব্রাম্মণ বাড়িযার সরাইল উপজেলার ডুবাজাইলের নিকট অপরটি বাজিতপুরের কামিয়ার বাউলী হয়ে রাজাপুরের নিকট মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত ক্রমাগত বন্যার পানি বৃষ্টি ও ভারি বর্ষনে এ অঞ্চল সংযুক্ত কালনী কুশিয়ারা ছাড়াও ধলেশ্বরী করাতিয়া কল-কলিয়া ইকুরদিয়া মেঘনা গোড়াউত্রা ইত্যাদি প্রতিটি নদী পানিতে পরিপূর্ন হয়ে গেছে এবং প্রত্যেক নদীতেই পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এছাড়াও পাহাড়ি ঢলে ভারতের বরাক নদী  মেঘনার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে ফলে উপজেলা ও পাশ্ববর্তী এলাকার মাঠ-ঘাট পানিতে একাকার হয়ে বাড়ী রাস্তাঘাট ইত্যাদিতে উঠে বিপর্যস্থ অবস্থা সৃষ্টি করছে। 

এদিকে অস্টগ্রাম উপজেলার সাভিয়া নগর সড়ক ভেঙ্গে গেছে ফলে এলাকার লোকজন সদরের আসা যাওয়া প্রায় বন্ধের পথে এছাড়াও বাংগালপাড়ার সড়কের ব্লক সরে গিয়ে বিছিন্ন হয়ে পড়াই অষ্টগ্রাম সদরের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন। এছাড়াও উপজেলার আব্দুল্লাহ পুর ইউনিয়ন এবং আদমপুর ইউনিয়নে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করছে। ঢেউয়ের আঘাতে ভিবিন্ন সড়ক কোথাও হেলে গিয়ে মারাত্নক ক্ষতি হওয়াসহ আরও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করেছে চৌদন্ত গাজী হাটি, কলিমপুর বাজার ইকরদিয়া নদীর ভাংঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে এবং এলাকায় বহু পরিবার অচিরেই সড়িয়ে নেওয়ার অবস্থা বিরাজ করছে। 

এছাড়া সদর, ভাতশালা, দেওঘর,বাংগাল পাড়া,কলমা পূর্ব অষ্টগ্রাম,আদমপুর, আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নে সৃষ্ট বহু নতুন বাড়ীর চারদিকে পানি সহ ঘর দরজা ভাঙ্গতে শুরু করেছে। হাওর গুলোর আমন জমি তলিয়ে গেছে।এ ছাড়াও তরিতরকারী সবজির জমিগুলো বিনষ্ট হয়ে পড়েছে। এ উপজেলার সংখ্যা গরীষ্ট মানুষই  শ্রমজীবি খেকে খাওয়া বৈশাখে মজুরী বিক্রি করে যে ঘরের খাবার ভাত উৎপাদন করেছিল তাদের ঘরের ভাত ফুড়িয়ে গেছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাস আর আর বন্যার আতংক সহ উপজেলার সংখ্যা গরীষ্ট মানুষ এখন বেকার ফলে উপজেলার সংখ্যা গরীষ্ট মানুষ চরম অভাব অনটন এমনকি অনাহারে অধাহারে দিন যাপন করছে পানি বৃদ্ধি অভ্যাহত রয়েছে। 
অভিভাবকদের ভাষ্য বন্যা নির্ধারিত এবং বন্যা সৃষ্টি সাথে সাথে শ্রমজীবি মানুষের পূর্নবাসন ও খাওযা পড়ার ব্যবস্থা জরুরি প্রয়োজনে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রফিুল আলম জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ও আদমপুর এই ২টি ইউনিয়নে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে আমরাও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি তবে এখন পর্যন্ত লোকজনদের কে সড়িয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

নি এম/মন্তোষ

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2024 Eibela.Com
Developed by: coder71