গত এক বছরে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর সকল ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন হতে শুরু করেছে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের অনেকেই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে আঙুর ও আপেলের মতো ফল চাষ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
সেখানকার প্রান্তিক চাষিদের জন্য ভারত সরকার রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ জোযনা নামে বিশেষ প্রণোদনা প্রকল্প চালু করেছে।
লেকের শহর হিসেবে পরিচিত গান্দারবাল এলাকাটি আঙুরের জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। এখানে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ জোযনা প্রকল্প চালু করার ফলে স্থানীয় কৃষকরা বেশ ভালো ফলন পেয়েছে এ বছর।
গত বছর উপত্যকায় কেন্দ্রীয় শাসন জারির পর থেকে ভারত সরকারের প্রণোদনায় এখানকার চাষিরা কৃষিতে ভালো ফলন পাচ্ছেন।
এখানকার চাষিরা বলছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দেয়া প্রণোদনার ফলে ফলনও ভালো হচ্ছে এবং আঙুরের গুণগত মানও ভালো হয়েছে।
গান্দারবাল কৃষি অফিসের নির্বাহী কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বাট জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রণোদনা এবং বিশেষ নজরদারির কারণে এখানকার কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন।
গান্দারবালের আঙুর চাষি মুদাসির আহমাদ বলেন, তার মতো অনেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি সহায়তায় উপত্যকায় বিভিন্ন ধরনের ফল চাষ করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।
খামারে বেড়া ও গাছে নেট দেয়ার মতো কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্যকরী পদক্ষেপের ফলে বজ্রপাতসহ প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফল সুরক্ষিত থাকায় ফলনও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
আবদুল হামিদ নামে আরেক আঙুর চাষি বলেন, প্রণোদনার আওতায় বাগানে ব্যবহারের জন্য খামারিদের লোহার রড দেয়ায় তাদের উৎপাদন খরচ অনেক কমে আসছে।
আমরা যুগ যুগ ধরে আঙুরের লতাগুলোর জন্য কাঠের মাচা বানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু এতে সবসময় এগুলো পরিচর্যা করতে হতো। এতে শ্রম ও সময় উভয় অপচয় হতো। কিন্তু সরকার খামারিদের লোহার রড দেয়ায় এতে অনেক উপকার হয়েছে।
আবদুল হামিদ আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় আমরা ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়াতে পারব।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ স্ট্যাটাস তুলে নিয়ে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করা হয়।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com