সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় ক্যাম্পাসে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের লাশ পড়ে আছে এবং তাদের লাশের কাছে তাদের বইপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে।
এভাবে প্রায় ছয় ঘণ্টা তাণ্ডব চলার পর আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই দুই বন্দুকধারী নিহত হলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসান হয়।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) টেলিগ্রাম পোস্টে হামলার দায় স্বীকার করে জানায়, দালাল সরকারের হয়ে কাজ করা বিচারক ও পরিদর্শকদের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানকে টার্গেট করে হামলাটি চালানো হয়েছিল।
অন্যদিকে তালেবান দাবি করেছে, তাদের কেউ এই হামলায় জড়িত ছিল না। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলার জন্য তালেবান ও তাদের পাকিস্তানি পৃষ্ঠপোষকদের দায়ী করেছেন। তিনি এ কথাও স্বীকার করেছেন, এই ঘটনায় আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের মারাত্মক দুর্বলতা ফুটে উঠেছে।
আফগান সরকার সোমবারের এ রক্তক্ষয়ী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সারা দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ‘এ হামলার কয়েক গুণ প্রতিশোধ’ গ্রহণ করার হুমকি দিয়েছেন।
নি এম/
Editor & Publisher : Sukriti Mondal.
E-mail: eibelanews2022@gmail.com