শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
শুক্রবার, ৫ই বৈশাখ ১৪৩২
সর্বশেষ
 
 
কানাডায় তীব্র দাবদাহ: ২৩০ জনের মৃত্যু
প্রকাশ: ১১:১৮ pm ৩০-০৬-২০২১ হালনাগাদ: ১১:১৮ pm ৩০-০৬-২০২১
 
এইবেলা ডেস্ক
 
 
 
 


তীব্র দাবদাহে পুড়ছে কানাডার পশ্চিমাঞ্চল ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকা। প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে তাপমাত্রা। গতকাল মঙ্গলবার সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দেখা পেয়েছে কানাডাবাসী। সবচেয়ে বেশি ভুগছে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের মানুষ। রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা ও তীব্র গরমে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩০ ছাড়িয়ে গেছে। 

ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার চিফ করোনার লিসা লাপোইন্তে এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত সপ্তাহের শেষ থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল। চলতি সপ্তাহে তা রেকর্ড ভাঙছে। গত শুক্রবারের পর থেকে রাজ্যে ২৩০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। তাঁদের মৃত্যুর পেছনে তীব্র দাবদাহ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দাবদাহে মৃত্যুর ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। এতে বলা হয়েছে, তীব্র গরমে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জনবহুল শহর ভ্যাঙ্কুভার এবং পাশের বার্নাবি ও সুরে শহরে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটেছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বয়স্ক। আরসিএমপির করপোরাল মাইকেল কালাঞ্জ বলেন, মৃত্যুর এসব ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে তাঁরা মারা গেছেন। তীব্র গরমে বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের একটি গ্রাম লুটন। গতকাল সেখানকার মানুষ বৈরী আবহাওয়ার চরম রূপ দেখেছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এদিন বিকেলে লুটনে তাপমাত্রা উঠেছিল ১২১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কানাডার ইতিহাসে এটাই সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। চলতি সপ্তাহের আগে কানাডায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়নি। তিন দিন ধরেই লুটনে রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা বজায় রয়েছে।

শুধু ব্রিটিশ কলাম্বিয়া নয়, কানাডার মেরু অঞ্চল থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন, ওয়াশিংটন অবধি তাপমাত্রা স্বাভাবিক সময়ের গড়ের তুলনায় বেশি রয়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে তাপমাত্রা ১০৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে উঠেছিল। আর অরিগন অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর পোর্টল্যান্ডের তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি। গতকাল সেখানে ১১৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস)। ১৯৪০-এর দশকের পর যুক্তরাষ্ট্রের এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে এবার। সূএ: সিএনএন ও এএফপির।

নি এম/

 
 
 
   
  Print  
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আরও খবর

 
 
 

 

Editor & Publisher : Sukriti Mondal.

E-mail: eibelanews2022@gmail.com

a concern of Eibela Ltd.

Request Mobile Site

Copyright © 2025 Eibela.Com
Developed by: coder71